সুখচার্বাক

শিমুল মাহমুদ




খ্রিস্টপূঠ°à§à¦¬à¦¾à¦¬à§à¦¦ প্রেক্ষাপঠŸà§‡ ভারতীয় দর্শনাশ্রি ত সমকাল উদ্দীপক আখ্যান
[আলেখ্য-ইশা রা : মানবপ্রজাত ির দায়, চার্বাক কথিত ভোগবাদি পূঁজির উদ্ভব]



১. চার্বাক সকাশে à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°

স্বয়ং এরিস্টটল মহাশয় বালক à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à§‡à¦° মাস্টারমশা ই ছিলেন। à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à§‡à¦° পিতা ফিলিপ নিঃসন্দেহৠপ্রজ্ঞাবান , যুদ্ধপ্রিয় হলেও উত্তরাধিকঠ¾à¦° সূত্রে সূর্য-à¦‰à¦ªà¦¾à¦¸à •à¥¤ এরিস্টটলেঠজন্মেরও আগে, তখনও খ্রিস্টাবৠদ গণনা চালু হয় নাই, যিশুর নতুন বাইবেলের দৃশ্যাবলি তখনও দৃশ্যমান নয়; অথচ তখনও ভারতবর্ষ পরিজ্ঞাত, প্রস্ফুটিত । তখন à¦‡à§Ÿà§‹à¦°à§‹à§Ÿà§‡à¦¶à¦¿à §Ÿà¦¾à§Ÿ বীরযুগের প্রবাহ দাপুটে; আর তখন ভারতবর্ষে আদি চার্বাকগণ গুহাবাসি, উলঙ্গ এবং সুখি।

আদিচার্বাঠদের সঙ্গে à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à§‡à¦° সাক্ষাৎ হয়নি। এমনকি আরও পাঁচ শতাব্দি পর ঘৃতচার্বাঠদের সূচানাকাল, তখনো à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à§‡à¦° জন্ম হয়নি, বরং আরও পাঁচ শতাব্দি অতিবাহিত পর যাদের পাওয়া যাচ্ছে তারাও চার্বাক বটে; তবে ইনারা à¦‰à¦¤à§à¦¤à¦°à¦•à¦¾à¦²à§‡à ° চার্বাক। এর পর এখন পাওয়া গেল ভাবিকালের চার্বাকদেঠ°, যাদের মধ্য দিয়ে আমরা নিজলোক প্রাপ্ত হয়েছি, মৎকৃত অর্থাৎ মদীয়লোক অবলোকন করেছি। এই যে à¦…à¦¬à¦²à§‹à¦•à¦¨à¦ªà§à¦°à ¾à¦ªà§à¦¤à¦¿ যার ধারাক্রম আদিকালের চার্বাক মারফৎ মধ্যকালের ঘৃতচার্বাঠ; অতঃপর ঘৃতচার্বাঠথেকে উত্তরাধিকঠ¾à¦°à¦¸à§‚ত্রে প্রাপ্ত à¦‰à¦¤à§à¦¤à¦°à¦•à¦¾à¦²à§‡à ° চার্বাকগণৠ‡à¦° যাপিতজীবনৠর ধারাবাহিকঠায় আমরা যারা নিজেদেরকে ভাবিকালের চার্বাক বিবেচনা করে শ্লাঘাবোধ করছি অর্থাৎ বর্তমান অবধি পৌঁছেছি।

পুনশ্চ-১
[অর্থাৎ এই যে মনুষ্যলোকৠ‡à¦° অবলোকন প্রসূত চিন্তনের প্রতিভাসসম ূহ, চিন্তাযুকৠতির এহেন প্রতিভাসসম ূহ আমরা উত্তরাধিকঠ¾à¦°à¦¸à§‚ত্রে চিন্তাপ্রব াহে অধিকার করে আসছি আদিচার্বাঠগণের কাছ থেকে ঘৃতচার্বাঠকর্তৃক; অতঃপর ঘৃতচার্বাঠহতে à¦‰à¦¤à§à¦¤à¦°à¦•à¦¾à¦²à§‡à ° চার্বাকদেঠ° যাপিতজীবনৠর আলোকে আমরা ভাবিকালের চার্বাকমুঠি চিন্তকবৃনৠদ]

এক্ষণে চার্বাক সকাশে à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à¥¤ ইনারা à¦‰à¦¤à§à¦¤à¦°à¦•à¦¾à¦²à§‡à ° চার্বাক এবং মৎকৃত স্বয়ং লিপিকর কিঞ্চিৎ ভাবতাড়িত বস্তুজগৎ কর্তৃক আক্রান্ত। ভাবিকালের পাঠক, তাহলে পাঠ করা যাক চার্বাককথঠ¾à¥¤

অতঃপর à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦° ভারতীয় যোগিদের উদ্দেশে প্রশ্নবাণৠদৃঢ়; যদিও à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à§‡à¦° দৃষ্টিতে দশ সংখ্যক ভারতীয় পুরুষ, ‘যোগি’ পরিচয়ে পরিচিত হলেও তদমধ্যে অন্তত একজন নিজেকে যোগি জ্ঞান অপেক্ষা চার্বাক পরিচয়ে অধিক শ্লাঘা বোধ করে।

à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à§‡à¦° প্রথম প্রশ্ন : ওহে ভণ্ডবৃন্দ তাহলে বলো, মানুষের ঈশ্বর কতখানি জ্ঞানি?
চার্বাকগণৠ‡à¦° মধ্য থেকে অন্তত একজন যে নিজেকে যোগি পরিচয় অপেক্ষা চার্বাক পরিচয়ে প্রশান্তি বোধ করে সেই কৃষ্ণকায়া, অপরাপর যোগিপুরুষ অপেক্ষা à¦…à¦ªà§‡à¦•à§à¦·à¦¾à¦•à§ƒà ¦¤ দীর্ঘাকৃতঠ¿, চিক্কন দেহাকৃতির রাক্ষস-à¦•à¦°à§à •à¦¶à¦•à¦£à§à¦  উচ্চারণ করল,
--মানুষ যতটুকু জ্ঞানি ঠিক ততটুকু।
এবম্প্রকাঠকথোপকথন চলতে থাকলে লিপিকর à¦‡à¦¥à¦¾à¦°à¦²à§‹à¦•à¦ªà§à °à¦¦à¦¤à§à¦¤ à¦•à¦¥à§‹à¦ªà¦•à¦¥à¦¨à¦¸à¦®à ‚à¦¹ আমাদিগের বোধগম্য ভাষায় লিপিবদ্ধ করলেন। অতঃপর চিন্তাশীল পাঠক আসুন লিপিবদ্ধ কালানুবাদ পাঠ করা যাক।
কাদেরকে তোমরা সংখ্যায় অধিক মনে কর, জীবিত না মৃত?
--জীবিত। কারণ মৃতেরা এখন নাই, মৃতেরা কোথাও নাই, মৃতদের গণনা অর্থহীন।
কোথায় বৃহত্তম প্রাণি জন্মে, সমুদ্রে নাকি স্থলভূমিতৠ?
--স্থলে। কারণ সমুদ্র স্থলেরই অংশ যেমন মৃত্যু জীবনেরই অংশ।
পশুদের মধ্যে কে সর্বাপেক্ঠ·à¦¾ চতুর?
--মানুষ। কেননা মানুষই উত্তম পশু, সৃষ্টির সেরা।
পৃথিবীতে প্রথম কী ছিল, দিন নাকি রাত্রি?
--দিন একদিন আগেই হয়েছিল। কেননা à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦°à§‡à¦° মতো চার্বাকেরঠ¾à¦“ আশাবাদি, জীবনবাদি, জীবনরস ভোগানুসারঠ¿à¥¤
মানুষ কীভাবে অপরের নিকট জনপ্রিয় হতে পারে?
--প্রচুর ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে সচরাচর ভয় উৎপাদন করে না।
মানুষ কীভাবে দেবতা হতে পারে?
--অসাধ্য সাধনই দেবত্ব প্রাপ্তির উপায়, যেমনটি ইতোমধ্যেই সিদ্ধার্থ গৌতমের দেবত্বলাভ করায়ত্ব এবং এক্ষণে আপনি à¦†à¦²à§‡à¦•à¦œà¦¾à¦¨à§à¦¡à ¾à¦° হয়ে উঠতে শুরু করেছেন রক্তপাতের দেবতা, আগ্রাসনের দেবতা।
কোনটি অধিক শক্তিশালী, জীবন না মৃত্যু?
--জীবন। যেহেতু জীবনই যাবতীয় কষ্ট সহ্য করতে পারে, মৃত্যুর সেই ক্ষমতা নাই।
মানুষ কতদিন মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে?
--যতদিন জীবনের চেয়ে মৃত্যু মূল্যবান বলে মনে না হয়।
মানুষ জ্ঞানের পথে কতটুকু হাঁটতে পারে?
--ঈশ্বর যতটুকু হাঁটতে পারে ততটুকু।
ঈশ্বর কতখানি হাঁটতে পারে?
--অনন্ত। ঈশ্বর হল স্বপ্ন। মানুষ সমীম হওয়া সত্ত্বেও মানুষের স্বপ্ন অসীম। স্বপ্নের পথ বিরামহীন। জ্ঞানের পথ বিরামহীন। মৃত্যুর পরও মানুষ হাঁটতে পারে, স্বাপ্নিক ঈশ্বরের মতো।
মানুষের মৃত্যু হয় কেন?
--বেঁচে থাকার সময়টুকু স্বপ্ন দিয়ে মুড়িয়ে রাখার জন্য মানুষকে মরতে হয়। স্বপ্ন তো মানুষের মতো এলোমেলো আর মানুষের মতোই à¦†à¦•à¦¾à¦™à§à¦•à§à¦·à¦¾à ¦ªà¦¾à¦—ল, গতিশীল। স্বপ্নের ভিতর রয়েছে চরম মাদকতা, অথচ সেই মাদকতার à¦‰à¦²à§à¦Ÿà§‹à¦¦à¦¿à¦•à§‡à ¦‡ প্রচণ্ডরকঠভয়, ভূত, রাক্ষস, বমি চেটে তোলার মতো বিতৃষ্ণা, ন্যাংটো হবার লজ্জা, লোকসমাজে বেইজ্জতি হবার ভয়, যদিও মানুষ মাত্রই নেংটা, তারপরও জলাতঙ্ক ব্যাধিতুল্ য বেইজ্জতি হবার স্নায়ু-বিকঠ²à¦¤à¦¾, জাহাজভর্তি পোশাকপড়া মানুষের মধ্যে নিজেকে à¦ªà§‹à¦¶à¦¾à¦•à¦¬à¦¿à¦¹à§€à ¨ উলঙ্গ হিসেবে দেখার আতঙ্ক, দৌড়াতে গিয়ে দৌড়াতে না পারার স্থবিরতাজন িত আতঙ্ক, অথচ পরমুহূর্তৠই শূন্যে ভেসে গিয়ে জাহাজের মাস্তুলে ঝুলে থাকার আতঙ্ক; অনন্তকাল এই ঝুলে থাকার আতঙ্ক থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই মানুষকে মরতে হয়।

[সূচনাংশের ট্রায়াল এডিশন : অসমাপ্ত]